Shankar Ghosh: বইয়ের ব্যাগটা বড্ড ভারী? ওজন কমাতে বিধানসভায় প্রাইভেট বিল BJP বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের
সেই সঙ্গেই শিশুদের স্বাস্থ্য, শৈশবে কোন পরিবেশে সেই শিশু বেড়ে উঠছে, ড্রপ আউট, স্কুলে কতক্ষণ কোনও শিশুকে থাকতে হচ্ছে সেটার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এই বিষয়গুলি যুক্ত হচ্ছে এই বিলের মধ্য়ে।
এর আগে বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, রাজ্য বিধানসভায় তাঁর জমানায় এই প্রথম প্রাইভেট বিল জমা পড়ল। তিনি এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তবে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে এই বিলটি বিধানসভায় উঠতে পারে। আগেই একথা জানিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়।কীভাবে এই প্রাইভেট বিল পাশ হতে পারে?
এই বিল পাশের ক্ষেত্রে একাধিক ধাপ রয়েছে। প্রথমে সেটি আইন বিভাগের কাছে যায়। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলে সেই বিল পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর অনুমোদন পেলে এই বিল যায় রাজভবনে। রাজ্যপাল সেই বিলে অনুমোদন দিলে তা বিধানসভায় আলোচনার জন্য ফেরত আসবে। এরপর সেই বিল নিয়ে আলোচনা হয়।
এবার বিধানসভায় প্রাইভেট মেম্বার বিল জমা দিলেন শঙ্কর ঘোষ। নার্সারি কেজির পড়ুয়ার বইয়ের ব্যাগের ওজন কমানোর লক্ষ্যে এই প্রাইভেট বিল। স্কুল পড়ুয়াদের বইয়ের ভার কমানোর জন্য় এই প্রাইভেট বিল। তবে বিজেপি বিধায়কের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
বহু অভিভাবক বাস্তবিকই তাঁদের সন্তানদের বইয়ের এই ভার নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন। সেক্ষেত্রে বিজেপি বিধায়কের এই উদ্যোগ যদি স্কুল পড়ুয়াদের কিছুটা স্বস্তি দেয় সেটা অনেকের। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, স্কুলের যাওয়ার সময় একাধিক ছাত্রছাত্রীকে দেখা যায় যে বইয়ের ব্যাগ বইতে পারছে না তারা। এতটাই ভারি। কিন্তু সেই ব্যাগ না বইলেই নয়। বাধ্য হয়েই কার্যত বইয়ের ব্যাগকে টেনে নিয়ে যায় স্কুল পড়ুয়া শিশু। এমনকী এই ভারী ব্যাগ বয়ে নিয়ে যাওয়ার জেরে তাদের শারীরিক সমস্যার আশঙ্কাও থাকে।