Raju Dar Pocket Paratha: পরোটা বিক্রি ছেড়ে কি ফুড ব্লগিংয়ে মন রাজুদার? কত টাকা নিচ্ছেন? জানালেন HT বাংলাকে
Raju Dar Pocket Paratha Exclusive: শিয়ালদার পকেট পরোটা মানেই এখন রাজুদার কথা বোঝেন বেশিরভাগ নেটিজেন। দিন দুয়েক ধরে তাঁদের ফিডেই একটু অন্যরকম ভিডিয়ো আসতে শুরু করেছে। রাজুদারই ভিডিয়ো। কিন্তু দাদাকে দেখা যাচ্ছে অন্য় অবতারে। যেমন একটি ভিডিয়োতে শিয়ালদার একটি হোটেলের বিরিয়ানি নিয়ে কথা বলছেন রাজুদা। আবার অন্য এক ভিডিয়োতে একটি মোবাইল সেন্টারের পরিষেবা নিয়ে কথা বলছেন। তাহলে কি দাদাও ফুড ব্লগারদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই কাজে হাত পাকাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন মনে উঁকি দেওয়ার কারণ আছে। সম্প্রতি দাদা তার দোকানের নামে ফেসবুক পেজ খুলেছেন — রাজুদার পকেট পরোটা। ফলোয়ার সংখ্যা যার ছাড়িয়ে গিয়েছে ১ লাখ। আবার ওই পেজে রোজই ২-৩টে করে রাজুদার রিল পোস্ট হয়। এসব দেখেই ‘ফুড ব্লগার’ রাজুদার তত্ত্বতালাশে আগ্রহী হল HT বাংলা।কী বললেন রাজুদা
‘পরোটা বিক্রি ছাড়ছি না। পরোটা বিক্রি করি বলেই মানুষ আমাকে ভালোবাসে। ওই করে আমি আমার সংসার চালাই। তাই পরোটা বেচবই। দর্শকরা যেটা দেখেছেন সেটা আমার এক দাদার হোটেল। শিয়ালদায় তাঁর দীর্ঘদিন ধরে হোটেল । ওই দাদাই আমাকে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাই ভাই হয়ে ভিডিয়োর ব্যাপারে না করতে পারি না । দর্শকরা সেই হোটেলেরই কিছু ভিডিয়ো দেখেছেন।’ ব্লগিং নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই জানালেন রাজুদা।
আরও পড়ুন - Raju Dar Pocket Paratha: ‘খুব জ্বালাতন করে…থানা থেকে ডাক আসছে’ ফুড ব্লগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে HT বাংলাকে কী বললেন রাজুদা
‘এলাকার লোক তাই…’
এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা গেল অন্য আরেক ভিডিয়োর কথা। একটি মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে দেখা যাচ্ছে রাজুদাকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরনো মোবাইল এক্সচেঞ্জ করে সেখান থেকে নতুন মোবাইল কেনা যায়। দোকানমালিকের পাশে বসে সে কথাই দর্শকদের জানাচ্ছেন রাজুদা। এ প্রশ্ন তুলতেই রাজুদার বক্তব্য, ‘ওই দোকানটা আমার এলাকারই একটি দোকান। তাই ওরা বলার পর না করতে পারিনি। ইদানিং আমার ভিডিয়ো খুব ভাইরাল হচ্ছে। তাই কারওর জন্য ভিডিয়ো করে দিলে যদি তাঁর উপকার হয়, ক্ষতি কীসের!’আরও পড়ুন - ভরাপেটে শিয়ালদা গেলেও খিদে পাচ্ছে কেন? ‘রাজু’কীয় পকেট পরোটার রহস্যের টানে হাজির HT বাংলা
কত টাকা নিচ্ছে রাজুদা?
তাহলে রাজুদা ব্লগিংয়ে আগ্রহী? এর জন্য অর্থমূল্য কীরকম লাগছে? এই ব্যাপারে দাদা জানালেন অন্য আরেক ব্লগার দিদির কথা। রাজুদার কথায়, ‘শিয়ালদায় যে দাদার হোটেলের ভিডিয়ো করেছি, তার থেকে টাকা নিইনি। আমাদের ওরকম সম্পর্ক নয়। তবে দাদা আমাদের খাবার বিনামূল্যে খাইয়েছেন। কিন্তু কেউ তাদের দোকানের জন্য আমাকে দিয়ে ভিডিয়ো করাতে চাইলে পায়েলদিকে যোগাযোগ করতে পারেন। পায়েলফুডি-র পায়েলদি প্রথম থেকেই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তাই এই ব্যাপারটা দিদির উপরেই ছেড়ে দিয়েছি।’
‘বাড়তি ইনকাম তো অপরাধ নয়’
ব্যাপারটা খোলসা করে জানতে যোগাযোগ করা গেল পায়েলফুডি-র পায়েল দেবের সঙ্গে। প্রথমেই ব্লগিংয়ের প্রসঙ্গে পায়েল জানালেন রাজুদার ডেইলি ইনকামের কথা। ‘রোজ গুমা থেকে এসে ৪০০ পরোটা বেচেন রাজুদা। এতে আয় থাকে মেরেকেটে ডেইলি ৬০০-৭০০ টাকা। এই টাকা দিয়েই সংসার চালাতে হয় দাদাকে। ইদানিং দাদা আর দাদার ভিডিয়ো দুইই ভাইরাল। তাই অনেকে দাদাকে দিয়ে ভিডিয়ো শুট করাতে আগ্রহী হচ্ছেন। এই ব্যাপারগুলো দাদা খুব ভালো বোঝেন না। তাই আমি সহযোগিতা করছি। তবে হ্যাঁ, যেহেতু রাজুদার ফ্যান ফলোয়িং প্রচুর, তাই কিছু অর্থের বিনিময়েই কাজটি করা হচ্ছে । এটা রাজুদার পারিশ্রমিক। পাশাপাশি দাদারও সংসারের দিকে কিছুটা হেল্প হচ্ছে।’ প্রতি ভিডিয়োর কত চার্জ করছেন রাজুদা? এই প্রসঙ্গে পায়েল জানালেন,‘ পয়সাকড়ি ভিডিয়ো অনুযায়ী নেওয়া হচ্ছে। কতক্ষণের ভিডিয়ো, কীভাবে শুট হচ্ছে, দোকান কোথায় ইত্যাদি ব্যাপারগুলো দেখে চার্জ ঠিক করা হবে। এই ব্যাপারে জানতে আমার পেজ অর্থাৎ পায়েল ফুডিতে মেসেজ করলে বিস্তারিত বলে দেব।’পরোটা বিক্রি গোয়িং অন
ফুড ব্লগিংয়ের জেরে এখন অনেক দোকানদার বেশ বিখ্যাত। সেই সূত্রেই বেশ কিছু দোকানদার শুরু করে দিয়েছেন প্রোমোশন। অর্থাৎ অন্যদের হোটেল বা দোকানে গিয়ে তাদের পরিষেবা নিয়ে ভিডিয়ো করা। নিজেদের ফ্যানবেসকেই অন্যদের প্রোমেশনে কাজে লাগাচ্ছেন তাঁরা। এবার থেকে রাজুদাকেও দেখা যাবে সেই অবতারে। তবে পরোটা বিক্রি আগের মতোই চলবে বলে জানিয়েছেন গুমার রাজু ঘোষ। সে ব্যাপারে ঘাটতি হবে না। এই আশ্বাসই মিলেছে সকলের প্রিয় রাজুদার কাছ থেকে।